আজ মঙ্গলবার, ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মুশফিক-মাহমুদুল্লাহর দৃড়তায় শক্ত অবস্থানে বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু হয়েছে। আগের দিন ৫ উইকেট হারিয়ে ৩০৩ রান তোলে বাংলাদেশ। এরপর দ্বিতীয় দিনে অপরাজিত দুই ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদুল্লাহ দারুণ শুরু করেন। দ্বিতীয় দিনের মধ্যাহ্ন বিরতির আগে বাংলাদেশ ওই ৫ উইকেটে ৩৬৫ রান তুলেছে।

আগের দিন সেঞ্চুরি করে পাওয়া ব্যাটসম্যান মুশফিক ১৩৫ রানে ব্যাট করছেন। তার সঙ্গে অপর প্রান্তে থাকা অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহর সংগ্রহ ৩৫ রান।

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে রোববার শুরু হওয়া ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। কিন্তু ইনিংসের শুরুতেই তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় টাইগররা। ওপেনার লিটন দাস করেন ৯ রান। ইমরুল কায়েস ও মোহাম্মদ মিঠুন শূন্য রানেই ফিরে যান। সেখান থেকে চতুর্থ উইকেটে ২৭৬ রানের জুটি গড়েন মুমিনুল ও মুশফিকুর। সেঞ্চুরি পান দুই ব্যাটসম্যানই। ওই তিন উইকেট নিয়েই দিন শেষ করতে পারতো বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ বিকেলে দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ।

দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে দলের হয়ে কোন রান না করেই জারভিসের বলে আউট হন ওপেনার ইমরুল কায়েস। এরপর দলের ১৬ রানে ফেরেন লিটন দাস। সিলেট টেস্টের পর ঢাকা টেস্টেও পুরোপুরি ব্যর্থ হন দুই ওপেনার। তাদের আউটের পর ঢাকা টেস্টে অভিষেক হওয়া মোহাম্মদ মিঠুনও ‘ডাক’ মেরে ফেরেন। দলের রান তখন ২৬!

এরপর মুমিনুল ও মুশফিক দারুণ ফিফটি তুলে নেন। মুমিনুল তার ফিফটিকে প্রথমে সেঞ্চুরিতে নিয়ে যান। পূর্ণ করেন টেস্ট ক্যারিয়ারের সপ্তম শতক। এরপর শতকের রূপ দেন দেড়শ’ রানে। শেষ পর্যন্ত আউট হন ১৬১ রান করে। এরপরে নাইট ওয়াচম্যান তাইজুল ইসলামও ফিরে যান। তবে ১১১ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেন মুশফিক। কোনো রান না করে অপরাজিত থাকেন মাহমুদুল্লাহও।

বাংলাদেশ দল এ ম্যাচে তিন পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে। দ্বিতীয় টেস্টের দলে মুস্তাফিজের সুযোগ পাওয়া অনুমিত ছিল। তিনি ফিরেছেন দলে। সঙ্গে ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুন ও পেসার খালেদ আহমেদের অভিষেক হয়েছে। দল থেকে বাদ পড়েছেন ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত। এছাড়া প্রথম টেস্টের দলে থাকা পেসার আবু জায়েদ ও স্পিনার নাজমুল ইসলাম নেই দলে।